বর্তমান সময়ে জীবনযাপন ব্যয় এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই মিতব্যায়ি হতে হবে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি যখন মিতব্যায়ি হবেন তখন এটি আপনার একটি অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। না হলে আপনি কোনভাবেই জীবনযাপনের ওপর ব্যয় কমাতে সক্ষম হবেন না। তবে আপনি যদি সাধারণ জীবনযাপন করে থাকেন তাহলে আপনার জীবনযাপনের ব্যয় অনেক অংশে কমে যাবে। কিন্তু জীবনযাপনের ব্যয় কমানোর উপায় কি? আপনার জীবনযাপনের উপর যে ব্যয় হয় তার জন্য জীবনযাপন এর ব্যয় কমানোর ১০টি উপায় জানতে পারবেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অন্যান্য খরচ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিপরীতে সেই হারে আয় হচ্ছে না। তাই অবশ্যই জীবনযাপনের ব্যয় কমানো অত্যাবশ্যকীয়। যদি এখনই মিতব্যয়ী না হতে পারেন তাহলে কোন ভাবেই ভবিষ্যতে উন্নয়ন করতে পারবেন না। এছাড়াও সঞ্চয়ের অভাবে ভবিষ্যতের যে কোন বিপদ মোকাবেলার জন্য হা..হা..কার করতে হয়। তাই এখনই ভবিষ্যতের কথা ভেবে হলেও সকলকে মিতব্যয়ী হতে হবে এবং অবশ্যই প্রয়োজন পূরণ করে সঞ্চয় প্রবণতা তৈরি করতে হবে।
জীবনযাপন এর ব্যয় কমানোর ১০ টি উপায়
জীবনযাপন এর ব্যয় কমানোর ১০টি উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-
১. আপনার ব্যয় কমানো অভ্যাস তৈরি করুন
যেকোনো জিনিস সঠিক যত্ন না করলে অবশ্যই সেই জিনিসটি নষ্ট হয়ে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায়। তাই আপনি যদি টাকার যত্ন না করেন তাহলে সেই টাকাও একদিন ফুরিয়ে যাবে। কারণ টাকা খরচ করার সময় অবশ্যই হিসেব করে খরচ করতে হবে। তাছাড়া আপনার মধ্যে খরচ কমানোর অভ্যাস তৈরি করে নিতে হবে। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই ব্যয় করা উচিত নয়। প্রতিনিয়ত যদি আপনি চাহিদার পিছু ছুটেন তাহলে ব্যায় কোনভাবেই কমানো যাবে না। তাই আপনার ব্যয় কমানোর অভ্যাস তৈরি করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা উচিত নয়।
প্রয়োজনে আপনার যে সকল খাতে ব্যয় হয় সেই সকল ব্যয়ের একটি লিস্ট তৈরি করতে পারেন। যাতে করে প্রয়োজন এবং চাহিদা গুলো আলাদা করা যায়। প্রথমে প্রয়োজন পূরণ করে চাহিদার জন্য সঞ্চয় করতে পারেন। তবে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে ব্যয় কমানোর জন্য। সেই সাথে আপনার মধ্যে ব্যয় কমানোর অভ্যাস বা প্রবণতা তৈরি করে নিতে হবে।
২. বাজেট তৈরি করুন
যেকোনো খরচ করার পূর্বে অবশ্যই একটি বাজেট তৈরি করে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি পূর্ব থেকে বাজেট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ করার পরিমাণ পূর্বে থেকে জেনে নিতে পারবেন। এবং সেই সাথে যেই উদ্দেশ্যে আপনি খরচ করতে চাচ্ছেন সেটি সম্পূর্ণ হতে সাহায্য করবে। তাছাড়া একটি বাজেট তৈরি করার জন্য তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। সেগুলো হচ্ছে- আপনি কি পরিমান অর্থ উপার্জন করেন, আপনি কি পরিমান খরচ করেন এবং খরচ করার অবস্থান সম্পর্কে।
এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অবশ্যই একটি বাজেট তৈরি করতে হবে। কারণ আপনি যদি নিজেই না জানেন আপনি কেন খরচ করছেন এবং আপনার আয়ের উৎস কি পরিমান হয়ে থাকে, তাহলে কোনভাবেই আপনি ব্যয় কমাতে পারবেন না। এছাড়াও আপনি আপনার আয়ের ওপর প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৫০% বরাদ্দ করতে পারেন। অন্যান্য খরচের জন্য ৩০% বরাদ্দ করতে পারেন এবং বাকি ২০% সঞ্জয়ের জন্য বরাদ্দ করতে পারেন। এভাবে খরচের পূর্বে একটি বাজেট তৈরি করে ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে নিতে পারেন।
৩. সদস্যদের মধ্য আয়ের প্রবণতা তৈরি করুন
জীবন যাত্রার ব্যয় কমানোর জন্য সদস্যতা আপডেট করতে পারেন। এটি মূলত আপনার পরিবারে যে ক’জন সদস্য রয়েছে তাদের মধ্যে আয় করার প্রবণতা তৈরি করতে পারেন। এতে করে পরিবারের যে কর্তা রয়েছে তার আয়ের ওপর ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাবে। কারণ একটি পরিবারের প্রধান যে কর্তা রয়েছে তার ওপর ব্যয়ের পরিমাণ বেশি থেকে থাকে। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আয় করার প্রবণতা তৈরি করে দিতে হবে। যাতে করে তারা অলস সময় না কাটিয়ে আয় করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে নেয়। এতে করে যেমন পরিবারের আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি পরিবারের প্রধান কর্তার ওপর ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস পাবে।
৪. ইউটিলিটি ব্যাবহার কমিয়ে আনুন
ইউটিলিটি খরচ বলতে যে সকল খরচ আপনার জন্য অতি প্রয়োজন সেগুলোকেই বুঝায়। যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল এবং পানির বিল ইত্যাদি। এ ধরনের ইউটিলিটি খরচের ওপর যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে লাইট ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে তা পরিবর্তন করে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। ফলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
দিনের আলোতে লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে ফ্যান বা বৈদ্যুতিক যেকোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকতে হবে। হিটিং এবং কুলিং সিস্টেমের জন্য যে কোন প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট ইন্সটল করতে পারেন। অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
রান্নার কাজ ছাড়া অন্যান্য যে কোন কাজে গ্যাস ব্যবহৃত হয় সে সকল কাজগুলো গ্যাস ব্যাতীত অন্য কোন উপায়ে সম্পন্ন করতে হবে। যতক্ষণ রান্না করা হবে ততক্ষণ গ্যাস ব্যবহার করার পর চুলা বন্ধ করে দেয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকা উচিত। ট্যাপ ছেড়ে ধৌত না করে একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেখান থেকে ধৌত কাজ সম্পন্ন করলে পানির অপচয় অনেকাংশে কমে যায়।
সুতরাং আপনারা এভাবে সংসারের ইউটিলিটি খরচ গুলো কমিয়ে এনে জীবনযাপনের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারেন।
৫. আবাসন/ হাউসিং বিকল্প ব্যবস্থা
আপনি যেখানে বসবাস করেন সেটি একটি আবাসস্থল। একটি পরিবারের সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হচ্ছে আবাসন। তাই এই আবাসন এর উপর ব্যয় কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ বাড়িওয়ালার তুলনায় ভাড়াটিয়ার সংখ্যা বেশি থাকে। তাই যারা ভাড়া থাকেন তাদের অবশ্যই সাধ্যের মধ্যে আবাসন/ হাউসিং বিকল্প খুঁজে নিতে হবে। এমন একটি হাউস বা আবাসন খুঁজে নিতে হবে যেখানে আপনার পরিবারের সকল সদস্যদের সকল প্রয়োজন পূর্ণ হবে এবং সেইসাথে আপনার ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাবে।
অযথা বড় বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ আপনি যদি আজকে প্রয়োজন অনুসারে আবাসন ব্যবহার করেন এবং কিছু অর্থ সঞ্চয় করে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনি সেই সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে নিজের জন্য আবাসন স্থায়ীভাবে তৈরি করে নিতে পারবেন।
৬. বীমা বা ইনস্টলমেন্টে কেনাকাটা
বাসা বাড়িতে স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করার সময় আপনারা বীমা ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ইনস্টলমেন্টে ক্রয় করতে পারেন। এতে করে আপনারা যারা নিম্ন আয়ের অথবা মধ্য আয়ের ব্যক্তি রয়েছেন তারা খুব সহজেই স্থায়ী সম্পদ ইনস্টলমেন্ট এর মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি মাসে বা কিস্তি হিসেবে সস্তা বীমা হিসেবে যেকোন স্থায়ী সম্পদ কেনাকাটা করতে পারেন। এতে করে আপনার বাসায় স্থায়ী সম্পদ আসবে এবং সেইসাথে প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ হবে।
৭. তালিকা তৈরি করে কেনাকাটা করুন
কেনাকাটা করার সময় আপনি যদি একটি লিস্ট তৈরি করে নেন অর্থাৎ তালিকা তৈরি করে নেন তাহলে অতিরিক্ত জিনিস ক্রয় থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আমাদের জীবন যাপন সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার জন্য প্রয়োজনের ওপর আমরা সবার আগে নজর দিয়ে থাকি। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যখন মাসের প্রথমে কেনা হয় তখন অবশ্যই তালিকা তৈরি করে নেয়া উচিত। এতে করে অর্থের অনেক অপচয় রোধ হয় এবং সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শুধুমাত্র সংসারের কেনাকাটা করার সময় যে তালিকা তৈরি করতে হবে এমন বিষয় নয়, যে অনুষ্ঠান বা উৎসবের কেনাকাটার সময় যদি তালিকা তৈরি করে নেন তাহলে অযথা জিনিস ক্রয় থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং ব্যয় কমানো সম্ভব।
৮. নগদে ব্যায় করার চেষ্টা এবং বাসায় খাবার গ্রহণ
যে কোন জিনিস ক্রয় করার ক্ষেত্রে নগদে ক্রয় করার চেষ্টা করা উচিত। কারণ নগদ অর্থ দিয়ে ক্রয় করলে এর ওপর বাড়তি চাপ কমে যায়। বিশেষ করে বাকিতে যদি কোন পণ্য ক্রয় করা হয় তার ওপর অনেক সময় ইন্টারেস্ট চলে আসে। আর ইন্টারেস্ট দেয়ার ফলে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই যেকোনো কেনাকাটার করার সময় অবশ্যই নগদ ব্যয় করার চেষ্টা করতে হবে।
তাছাড়া বাসার খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। রেস্টুরেন্টে যদি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে ঘরে সকল উপকরণ নিয়ে এসে নিজে তৈরি করার চেষ্টা করতে পারেন। কারণ বেস্তরার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ব্য বৃদ্ধি পায়। তাই বাসায় খাবার তৈরি করার ফলে খরচ কমে যায় এবং সেই সাথে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা হয়। তাই অবশ্যই বাসায় খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
৯. ঋণ পরিশোধ
বিভিন্ন প্রয়োজনে যদি আপনি ঋণ গ্রহণ করেন। তখন ঋণ পরিশোধ করা একটি বড় ব্যয় হিসেবে জীবনযাপনে বাধা চলে আসে। কারণ ঋণের ওপর যে পরিমাণ সুদ আসে তা অবশ্যই জীবনযাপনের ব্যয়ের অতিরিক্ত হয়ে যায়। তাই ঋণ গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই জেনে বুঝে ঋণ গ্রহণ করবেন এবং ঋণ পরিশোধ করার সঠিক পদ্ধতি জেনে নিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন।
তাছাড়া নির্দিষ্ট তারিখের ঋণ পরিশোধ করলে সুদের হার কম আসে। সুতরাং ঋণ পরিশোধ করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট তারিখ মেনে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে করে জীবনযাপনের ব্যয় অনেক অংশে কমে আসে।
১০. যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে আসা
জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে যাতায়াত ব্যবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে আসা। আপনার যদি নিজস্ব গাড়ি অথবা মোটরবাইক থাকে তাহলে এগুলো ব্যবহারের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন। নিজস্ব গাড়ি থাকলে যখন তখন যেখানে সেখানে যাওয়ার জন্য গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে পারেন। কাছের কোন স্থানে যাতায়াত করার সময় হেঁটে যেতে পারেন এতে করে গাড়ির তেল বা গ্যাসের ব্যবহার কম হবে এবং অর্থের প্রয়োজন হবে না। আবার হেঁটে যাতায়াত করার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
যদি আপনার মোটর বাইক থেকে থাকে তাহলে যে কোন স্থানে সহজেই যাতায়াত করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে। যেহেতু গাড়ির আকার বড় এবং যখন তখন যে কোন স্থানে যাওয়া সম্ভব হয় না কারণ বাংলাদেশের রাস্তাগুলো সরু হয়ে থাকে আবার সঠিক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা পাওয়া যায় না, তাই মোটর বাইক ব্যবহার করাই শ্রেয়। সুতরাং আপনার যদি গাড়ি থাকে তাহলে আপনি গাড়ির পরিবর্তে মোটরবাইক ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই সঞ্চয় করতে পারবেন। তাছাড়া নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করলে খরচ কম হয়।
FAQ
জীবনযাপনের ব্যয় কমানো উচিত কেন?
ভবিষ্যৎ প্রয়োজন এর অর্থ সঞ্চয় করার জন্য হলেও জীবনযাপনের ব্যয় কমানো উচিত। এছাড়া আজীবনযাপনের ব্যয় কমানোর ফলে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করা যায়।
মাসিক খরচ করার পূর্বে তালিকা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি?
অবশ্যই, মাসিক খরচ করার পূর্বে অবশ্যই তালিকা তৈরি করে নেয়া উচিত। কারণ অনেক সময় প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা মনে থাকে না ফলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে যায়। এতে করে ব্যয় বৃদ্ধি পায় তাই যেকোনো জিনিস কেনার পূর্বে তালিকা তৈরি করে নেয়া আবশ্যক।
নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে কি উপকার হয়?
নির্দিষ্ট তারিখে ঋণ পরিশোধ করলে সুদের হার কম আসে। ঋণ হচ্ছে সুদের বিনিময় তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা উচিত।
শেষ কথা
অপেক্ষা না করে এবং কোন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে, চিন্তা ভাবনা না করে এখনই শুরু করে দিন জীবনযাপনের ব্যয় কমানোর জন্য। কারণ আপনি যত দ্রুত এই কাজ শুরু করবেন তত দ্রুতই আপনার ভবিষ্যতে জীবনধারা সহজ হয়ে উঠবে। তাই আশা করছি জীবনযাপন এর ব্যয় কমানোর ১০টি উপায় আপনার জীবনে কাজে লাগবে। এছাড়া সাধারণ খরচ গুলোর ব্যতীত যদি কোন ঋণ থাকে তাহলে সেগুলো দ্রুত পরিশোধ করার চেষ্টা করতে হবে।
যদি আপনার ঋণ গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে ক্রেডিট কাউন্সিলর এর কাছ থেকে পরামর্শ করে নিতে পারেন। এবং সেই পরামর্শ অনুসারে একটি বাজেট তৈরি করে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। মূলত ক্রেডিট কাউন্সিলররা আপনার অর্থ বাচানোর জন্য তথ্য ও পরিষেবা প্রদান করতে সহায়তা করে থাকে। আপনি যদি অর্থ সংক্রান্ত এবং ব্যয়ের উপর যে কোন তথ্য জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।